(চ) তারাবীর ক্ষেত্রেও নাবালেগ বা অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর ইমামতি শুদ্ধ হবে না। তাই যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক কোন শিশু, হাফেজও হয়, তবুও তার ইমামতিতে তারাবী না পড়ে, প্রাপ্তবয়স্ক কারো ইমামতিতে সূরা তারাবী আদায় করবে। কারো কারো মতে তারাবী যেহেতু নফল নামাজের অন্তর্ভুক্ত, তাই অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর ইমামতি করতে সমস্যা নেই। কিন্তু বিশুদ্ধ মত হলো, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর পেছনে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের একতেদা শুদ্ধ হবে না। কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের নফল আর শিশুর নফলেও পার্থক্য আছে। হ্যাঁ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু শিশুদের জামাতের ইমামতি করতে পারবে।
(ছ) অনেকেই দেখা যায় পাঁচ ছয় দিনের মধ্যে দেড় দুই ঘন্টা করে তারাবী পড়ে কোরআন খতম করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা আমরা অনুচিত মনে করছি। এই পরিস্থিতিতে এত দীর্ঘ সময় মুসল্লিদের সমবেত থাকা ঠিক হবে না। এক পারা সোয়াপারা করে দৈনিক তারাবীতে তেলাওয়াত করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
(জ) যারা মসজিদে অথবা ঘরে খতমে তারাবী আদায় না করতে পারার কারণে কোরআন শোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তারাও ইনশাআল্লাহ খতমে তারাবীর সাওয়াব পাবেন।
(ঝ) মহিলা হাফেজারা মহিলাদের জামাত করে তাতে ইমামতি করবেন না। কারণ শুধুমাত্র মহিলাদের জামাত মাকরুহ। তাই এটা থেকে সবাই বিরত থাকবেন।
(ঞ) তারাবীতে কেউ কেউ কোরআন দেখে দেখে পড়ে থাকেন। নামাজে কোরআনে কারিম দেখে দেখে পড়লে হানাফী মাযহাব মতো নামাজ ফাসেদ হয়ে যায়। যদিও শাফেঈ এবং হাম্বলী মাযহাব মতে এটা বৈধ। কিন্তু শরঈ ওজর ব্যতীত নিজের মাযহাব ছেড়ে অন্য মাযহাবের কোন মাসআলার উপর আমল করা জায়েজ নয়।
(ট) মসজিদের লাগোয়া ঘর কিংবা প্রতিবেশীর জন্য মসজিদের মাইকের মাধ্যমে তারাবীর নামাজ বা যে কোন নামাজে ঘর থেকে এক্তেদা করা জায়েজ নয়। তদ্রুপ মক্কা এবং মদিনার লাইভে তারাবী বা অন্য নামাজ চালু করে এক্তেদা করা জায়েজ নয়।
দুই.
(ক) সাহরী ও ইফতারের এলান মসজিদ থেকে করা যাবে। কিন্তু খেয়াল রাখবে সাহরীর সময় হওয়ার লম্বা সময় পূর্বে থেকেই যেন সাইরেন ইত্যাদি বাজিয়ে ভিন্নধর্মীদের কিংবা ইবাদতরত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের কষ্ট দেয়া না হয়।
(খ) আধুনিক ক্যালেন্ডার ও পুরনো ক্যালেন্ডারের সমন্বয় করে সাহরী এবং ইফতারের ব্যাপারে ঘোষণা দিবে। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি দুই ক্যালেন্ডারের মাঝে আট দশ মিনিটের ফারাক হয়। সে ক্ষেত্রে পুরনো ক্যালেন্ডার হিসেবে সাহরীর সময় ঘোষিত হবে এবং আধুনিক ক্যালেন্ডার হিসেবে দশ মিনিট পর ফজরের আযান দিবে।