বিমান বিধ্বস্ত: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯-এ। আর হতাহত হয়েছেন অর্ধশতাধিকের বেশি। ফায়ার সার্ভিস থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

তার মধ্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ঘটনাস্থলে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে একাধিক সূত্রে।

এছাড়া, হাসপাতাল ও আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী এই দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দেড় শতাধিক।

আজ সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর এফ-সেভেন বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

এর পরপরই ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট এবং তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যে ভবনটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেই ভবনে তখন স্কুলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল বলে জানা গেছে।

জুনিয়র সেকশনের ওই ভবনে নার্সারি, ওয়ান, টু, থ্রি— এসব শ্রেণির ক্লাস হয়। যুদ্ধবিমানটি সরাসরি ভবনে আঘাত করে। ভবনটিতে ১০০-১৫০ শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা যাচ্ছে।

এছাড়া, স্কুল শাখায় তখন নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলমান ছিল। স্কুল ছুটির আগ মুহূর্ত বা ছুটি হবে হবে, এইরকম সময়ে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে।

হঠাৎ বিকট শব্দে বিমানটি ভেঙে পড়লে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অভিভাবকরাও।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি আকাশে ১৩ মিনিটের মতো উড্ডয়ন করে বলে জানা যায়।

এই দুঘটনায় আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।

এদিন, দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি সকল সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

একইসঙ্গে আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।