ইউনূস সরকারের যে ভাল কাজের প্রশংসা কেউ করেনি!

বিশ্ব শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশজুড়ে গণহত্যা চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার পর অনেকটাই তড়িঘড়ি করে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তার পরিচালিত সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে দেশি-বিদেশি নানা চক্্রান্তকারী মহল। বিশেষ করে স্বৈরাচার হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি পিছনে লাগে বর্তমান সরকার প্রধানের।

স্বৈরাচার হাসিনা আর মোদি বোধহয় ভুলে গিয়েছিলো এটা আর কেউ নয় বর্তমান বিশ্বের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ড. মোহাম্মদ ইউনূস। তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে শক্তহাতে পদে পদে দমন করেছেন তিনি। ড. ইউনূস কথা কম বলেন কিন্তু কাজে বেশি করেন। ইতিমধ্যে তিনি এমন কিছু কাজ করেছেন যা হাসিনা তার বিগত ১৬ বছরেও করতে পারেনি। কাজগুলো তিনি করেছেন ঠিকই কিন্তু ফলাও করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মতো শো অফ করেননি কখনো।

হাসিনা পালানোর পর বিগত ৬-৭ মাসে ইউনূস সরকার দেশি-বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে ৬২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অথচ হাসিনা শুধু শিখেছেন ঋণ করতেই পরিশোধ করা তো দূরের কথা নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া আর ঋণ করে সেখান থেকে টাকা মেরে বিদেশে পাচার করাই ছিলো তার মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে ১৮.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা গতবছরের এই সময়ের তুলনায় ৪ বিলিয়ন বেশি।

অন্যদিকে বর্তমানে দেশের রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। অথচ হাসিনা দেশের রিজার্ভকে এমন পর্যায়ে রেখে চলে গিয়েছিলো যে দেশ পুরো দেউলিয়া হবার পথযাত্রী ছিলো। সেখান থেকেই দেশকে আবার নতুন করে টেনে তুলেছেন এই অর্থনীতিবিদ। কেউ কি ভেবেছিলো হাসিনার পরিবারের লুটেপুটে খাওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব? ড. ইউনূস ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার পরিবারের একাউন্ট থেকেই উদ্ধার করেছেন ৬৩৫ কোটি টাকা।

দেশের খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি বাড়িয়েছেন প্রায় ১২ শতাংশ। রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশংকা থাকলেও তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছে ইউনূস সরকার। হাসিনার সময় নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্যের দাম থেকে শুরু করে ইফতার তৈরির উপকরণের দামও বেড়ে যেতো রমজান এলেই। আপনাদের কি মনে পড়ে হাসিনার সেই বিখ্যাত সব রেসিপির কথা? বেগুন দিয়ে বেগুনি না বানিয়ে মিস্টি কুমড়ার বেগুনি বানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা।

এদিকে গত ২২ মাসের তুলনায় সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে এই ফেব্রুয়ারিতে, ভাবা যায়? এই মাস্টারমাইন্ডের হাত ধরে অর্থনীতিতে বেশ এগিয়েছে বাংলাদেশ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অপরদিকে দেশজুড়ে ধর্ষণ কান্ড ঘটাচ্ছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা, এবার ধর্ষণের তদন্ত ১৫ দিন এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে নিস্পত্তি করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।

ক্রীড়াক্ষেত্রেও পড়েছে ড. ইউনূসের সুনজর। আওয়ামী আমলে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে বাফুফের উপর ফিফা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো । তার কল্যাণে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ফিফা। অপরদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। জাতিসংঘ যখন রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দিলো ঠিক তখনি এই মাস্টারমাইন্ড জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশে এনে সরাসরি দেখালেন রোহিঙ্গাদের দুরাবস্থা। এর আগের কোন সরকার যা করতে পারেনি ঠিক সেই অসম্ভব কাজ গুলোই করে দেখিয়েছেন বিশ্বের বুকে আমাদের গর্ব, ড. মোহাম্মদ ইউনূস।