
আয়নাঘর ও টর্চার সেল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ইসলামী বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি। তিনি বলেন, র্যাব-১ এর টর্চার সেলে ছিলাম আমি। আমি একজন প্রত্যক্ষদর্শী, আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি। এই কথাগুলো মিথ্যা হলে আল্লাহর কাছে আমার জবাবদিহি করতে হবে।
আমাকে যেখানে নেয়া হয়েছিলো, ছোট একটি রুম ছিলো যেটা কবরের সাইজের সমান। ওইটুকুর ভিতরেই টয়লেট ছিলো। এখানেই খাওয়া, ঘুম সবকিছু। সেই সাথে বড় ফ্যান ছেড়ে রাখতো, যেন এক রুমের শব্দ অন্য রুমে না যায়। তবে টর্চার সেল আর গুম ঘর আলাদা থাকে। আমি কারাগারে ও রিমান্ডে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি। তাদের থেকে শুনেছি এগুলো।
একেকজন একেক গুম ঘরে ছিলো, তাই স্বাভাবিকভাবেই কারো কথার মিল নেই। এগুলো নিয়েই আওয়ামী দোষররা গুজব ছড়াচ্ছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় যখন টর্চার করা হতো আমি ফিল করি আওয়ামী লীগের নেতারা তখন সামনে ছিলো। তারা এগুলো দেখে মজা করতো। কারণ আমি শুনেছি একজন আরেকজনকে খোঁচা মেরে মজা নিচ্ছে। এই ছিলো আয়নাঘরেফ সার্বিক চিত্র।
আমি একজনের নাম বলতে পারি যার নাম জাহাঙ্গীর, সে আয়নাঘরের টর্চারে পাগল হয়ে গিয়েছে। সুস্থ মানুষ ছিলো একদম।