টাকা-পয়সা বা মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করতে এসে শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ করল এক চোর। ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের মালাড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে সতর্কবার্তা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি ৩৮ বছর বয়সি এক মহিলা বাড়িতে একা ছিলেন। হঠাৎ এক যুবক জোর করে তার বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। মহিলার অভিযোগ, ওই যুবক তার মুখ চেপে ধরে মূল্যবান জিনিসপত্র, টাকা-পয়সা, এটিএম কার্ড দাবি করে।
মহিলা জানান, তার কাছে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। এরপর পরিস্থিতি আরও অপ্রত্যাশিত হয়ে ওঠে। যুবকটি তাকে জোরপূর্বক চুম্বন করে পালিয়ে যায়।
মহিলা পরে কুরার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা হয়।
তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই এলাকারই বাসিন্দা এবং বেকার। সন্ধ্যার মধ্যেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে কোনও শাস্তি না দিয়ে শুধুমাত্র সতর্কবার্তা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই। সে পরিবারের সঙ্গেই থাকে। তবে কেন সে এমন কাজ করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টিকে হালকা ভাবে দেখার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।