গাজায় চলমান সংকট নিরসনে যুদ্ধবিরতির তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বাইডেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও প্যালেস্টাইনের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় দোহায় নতুন দফার আলোচনা চলছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক সরাসরি এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। বাইডেন প্রশাসন আশাবাদী যে জানুয়ারির ২০ তারিখের আগে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব। তবে আলোচনায় এখনও নানা প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও চূড়ান্ত চুক্তি হতে এখনও কিছুটা সময় লাগতে পারে।বাইডেন গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু তার দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-সমর্থনকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, তিনি শুধু যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হতে ইচ্ছুক। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তার লক্ষ্য গাজায় হামাসের সামরিক সক্ষমতাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা। হামাসের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি থাকলেও নেতানিয়াহু এ বিষয়ে আপসের কোনো ইঙ্গিত দেননি।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে হামলা অব্যাহত রেখেছে, যেখানে শতাধিক দিনের অবরোধে অন্তত ৫ হাজার মানুষ নিহত ও নিখোঁজ। জাতিসংঘের তথ্যানুসারে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের বেশি প্যালেস্টাইনি, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, নিহত হয়েছে এবং ৯০ শতাংশ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
গাজায় চলমান সংঘাতে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। নেতানিয়াহুর সরকারের উগ্রপন্থী অংশ যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করছে। আলোচনার ফলাফল নির্ভর করছে ইসরায়েল, হামাস এবং মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলোর মধ্যে বিশ্বাস ও সমঝোতার ওপর।