ছোট ভাইর সাথে স্ত্রীর সম্পর্ক, দেশে ফেরার ৯ দিনের মাথায় খু’ন প্রবাসী

মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নে পরকীয়ার জেরে ছোট ভাই ও স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছে বড়ভাই প্রবাসী উজ্জ্বল মিয়া(৩০)। দেশে আসার ৯দিনের মাথায় ঘটে এমন নির্মম ঘটনা। ঘটনার ১৮দিন পর অর্ধ গলিত অবস্থায় পাশেই ধলেশ্বরী নদী থেকে প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বাবা মো. রোকমান মোল্লা বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা করলে ঘটনা অনুসন্ধান করে স্ত্রী মোছা. কাঞ্চন (মনিরা), ছোট ভাই মো. ঝন্টু মিয়া এবং হত্যায় সহযোগী মাসুদকে(২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রির্ফিংয়ে পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. বশির আহাম্মেদ বিষয়টিন নিশ্চিত করেন ।

ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, প্রাবসী উজ্জ্বল বিদেশ থাকার সময় তার ছোট ভাই মো. ঝন্টুর সাথে তার স্ত্রী মোছা. কাঞ্চনের (মনিরা) সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এর মাঝে বড় ভাই দেশে ফিরে এলে সম্পর্কে বাধ সাধে। দেশে আসার ৯দিনের মাথায় গত মাসের (অক্টোবর) ১২ তারিখ রাতে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী দুধের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ফেলে এবং ব্যবহৃত গামছা দিয়ে হাত, পা বেঁধে ফেলে। এরপর দেবর ঝন্টুকে ডেকে আনলে ঝন্টু তার বন্ধু মাসুদকে ফোন করে বাড়িতে আসতে বলে।

এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্ত্রী, ছোট ভাই এবং বন্ধু মাসুদ হত্যা নিশ্চিত করে। এবং লাশ গুম করার জন্য বাঁশের সাথে বেঁধে ধলেশ্বরী নদীর পারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধারালো ছুরি দিয়ে লাশের বুক চিড়ে বড় ড্রামের সাথে বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। যাতে করে লাশ ভেসে উঠতে না পারে।

এঘনায় আগামীকাল তাদের আদালতে তোলা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল ওয়ারিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) সুজন সরকার, সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাসসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।