এই অরাজকতার শেষ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের

দিনে-দুপুরে অস্ত্র হাতে ছিনতাই, গোলাগুলি আর ডাকাতি- আড়াই মাসে যেন নৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। শুধু জেনেভা ক্যাম্পেই গোলাগুলিতে নিহত ৬ জন। আর ক্যাম্পের বাইরে ৯ জন নিহত হন। এমনকি এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে, দুটি করে সেনাক্যাম্প ও পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। তবুও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার ৬ নভেম্বর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দলটি জানিয়েছে, ছিনতাই,খুন ও কিশোরগ্যাংয়ের দাপটে তটস্থ মোহাম্মদপুর। গত দুই মাসে হয়েছে ১০ খুন। মোহাম্মদপুরের আছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ইতিহাস। শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফ, ‘সুইডেন আসলাম’, ‘পিচ্চি হেলাল’ ত্রাস ছড়িয়েছেন এ এলাকায়।

মোহাম্মদপুরে ৫আগস্ট থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এ এলাকায় অপরাধ, বিশেষত ছিনতাই ও খুনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এই অরাজকতার শেষ কোথায়? অবৈধ ইউনুস সরকারের টনক নড়বে কী?

এর আগে, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে হেলিকপ্টারযোগে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও কেন্দ্রীয় অনেক নেতার খোঁজ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কেউ কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।

এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন দলকে শক্তিশালী করা যায়নি, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে আবার দলের সিনিয়র নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতার ভাষ্যমতে, রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। এক দল সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলাম। এখন ক্ষমতায় নেই। দেশের যে পরিস্থিতি, সেজন্য অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে নেতাকর্মীরা আবার মাঠে নামবেন। এখন নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করা উচিত নয়। নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।