পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগ কর্মী অনিক খানকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইম নাহিদ ইমনের অনুসারী এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
অনিকের বন্ধুরা জানান, শনিবার ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের চূড়ান্ত ভাইবা পরীক্ষা ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পরীক্ষা শেষে তারা তিন বন্ধু অ্যাকাডেমিক ভবন থেকে বের হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই দুটি মোটরসাইকেলে এসে কয়েকজন ব্যক্তি অনিককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে অনিকের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
অনিকের বন্ধু আসিফ বলেন, ‘আমরা তিনজন একসঙ্গে নিচে এসেছিলাম, তখন দুটি মোটরসাইকেল এসে অনিককে তুলে নিয়ে যায়। মোটরসাইকেলের নাম্বার প্লেট গামছা দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল, এবং কারা ছিল আমরা শনাক্ত করতে পারিনি। অনিককে তুলে নেয়ার পর থেকে অনিকসহ অনেকের ফোন বন্ধ পাচ্ছি। আমরা ভীষণ চিন্তিত।’
বিষয়টি জানতে অনিকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমরা ঘটনাটি শুনেছি। আমরা তাকে খোঁজার চেষ্টা করছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি।’
এদিকে, গতকাল রাতে অনিক খানকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে অ্যানোনিমাস পোস্ট দেয়া হয়, যেখানে অভিযোগ করা হয় যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২১২ নম্বর রুমের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নাইমুর নাহিদ ইমন, অনিক খান এবং সহসম্পাদক মোহাম্মদ হাসান জড়িত ছিলেন।