ত্রাণ নিয়ে এখানে কেউ আসে না; মনোহরগঞ্জ-নাঙ্গলকোটে খাবারের কষ্টে মানুষ হাহাকার

বন্যা কবলিত কুমিল্লার অন্যান্য উপজেলায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চললেও মনোহরগঞ্জ-নাঙ্গলকোটে পানিবন্দি মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন।

তাদের অভিযোগ, এ দুই উপজেলার অবস্থান একটু ভেতরে হওয়ায় এবং বন্যার ভয়াবহতার প্রচার না থাকায় কেউ তাদের উদ্ধার করতে আসছে না; তারা ত্রাণও পাচ্ছেন না।

রোববার এ দুই উপজেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে শুরু করে কয়েকটি স্থানে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। সেখানকার বানভাসি প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মনোহরগঞ্জ উপজেলার গাজিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুল বাকী মিলন বলেন, “বুড়িচংসহ অন্যান্য উপজেলার আগে মনোহরগঞ্জ উপজেলা পুরোপুরি প্লাবিত হয়। কিন্তু বিষয়টি সেভাবে আলোচনায় আসেনি। আমাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে সরকারি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি। খাবারের কষ্টে মানুষ হাহাকার করছে।

নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার পানিবন্দি মানুষদের অভিযোগ, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীরা বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম, দাউদকান্দি, লাকসাম এসব এলাকায় বেশি প্রবেশ করছেন। স্থানীয় সামান্য কিছু উদ্যোগ ছাড়া ত্রাণ পাচ্ছেন না নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার লাখ লাখ পানিবন্দি মানুষ।

রোববার সকালে এ দুই উপজেলার অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ করা বাইরের স্বেচ্ছাসেবকরা একদম আসছেন না এ দুই উপজেলায়। মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট উপজেলা একেবারেই নোয়াখালীর পাশে। মহাসড়ক থেকে দূরের উপজেলা হওয়ায় সেখানে বানভাসিদের কাছে যাচ্ছেন না কেউই। যার কারণে এ দুই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পানিবন্দি মানুষের মধ্যে হাহাকার বেড়েই চলেছে।