
সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি:
ভারতে গত ৩৭ বছরের মধ্যে এত ভয়াবহ বন্যা দেখেনি পাঞ্জাব। লাগাতার অতি ভারী বৃষ্টির জেরে পানিতে তলিয়ে গেছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। গুরুতর এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবকে ‘বিপর্যস্ত রাজ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে উদ্ধার কাজে নেমেছে আর্মি, নেভি ও বায়ুসেনা।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৩টি দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে রাজ্যে। সরকারি রিপোর্ট বলছে, বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঞ্জাবের ২৩টি জেলাই। ৩০ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। আহত হয়েছেন কমপক্ষে শতাধিক। নিখোঁজ আছেন বহু। প্রায় ১৪০০ গ্রাম তলিয়ে গেছে পানির নিচে।
সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঠানকোট। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের, নিখোঁজ আরও ৩ জন। লুধিয়ানায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যেই লাগাতার বৃষ্টি চলছে পাঞ্জাবের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে গুরুদাসপুর জেলা। সেখানে ৩২৪টি গ্রাম ডুবে গেছে, এরপর অমৃতসর (১৩৫টি গ্রাম) এবং হোশিয়ারপুর (১১৯টি গ্রাম)।
ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে বার্নালা, বাথিন্ডা, ফিরোজপুর, পাতিয়ালা, এসএএস নগর, সাঙ্গরুর, তরন তারান এবং ফাজিলকা। বন্যায় ১.৪৮ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি ফসল নষ্ট হয়েছে, প্রায় ৩.৭৫ লক্ষ হেক্টর কৃষিজমি ডুবে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রকে চিঠি লিখে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে রাজ্যে সরকার।
পর্যাপ্ত সংখ্যক এনডিআরএফ বাহিনী এবং সেনা শিবির মোতায়েন করে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে কোনো কমতি রাখা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।