ফিলিস্তিনপন্থী কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট মাহমুদ খালিলকে মুক্তির আদেশ বিচারকের

ফিলিস্তিনপন্থী কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহমুদ খালিলকে অভিবাসী আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন বিচারক। আদেশ দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর লুইজিয়ানার অভিবাসী আটক কেন্দ্র থেকে বের হন খালিল। শনিবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

এটি একটি বড় বিজয় সেইসব অধিকার সংগঠনের জন্য, যারা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একজন প্রো-প্যালেস্টাইনিয়ান কর্মীকে অবৈধভাবে লক্ষ্য করার অভিযোগ তুলেছিল বলে সাংবাদিকদের বলেন খলিল।

লুইজিয়ানার গ্রামীণ শহর জেনায় মুক্তির পর মাহমুদ খালিল বলেন, ‘যদিও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু এটি অত্যন্ত দেরিতে এসেছে। এটা তিন মাস লাগার কথা ছিল না।’

গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে প্রো-প্যালেস্টাইনিয়ান বিক্ষোভের একজন পরিচিত নেতা মাহমুদ খালিলকে গত ৮ মার্চ ম্যানহাটনের তার বিশ্ববিদ্যালয় আবাসনের লবিতে অভিবাসন এজেন্টরা গ্রেফতার করে।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিক্ষোভগুলোকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে অংশগ্রহণকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। খালিলই এই নীতির প্রথম শিকার হন।

বিক্ষোভকারীরা, যাদের মধ্যে কিছু ইহুদি গোষ্ঠীও রয়েছে, বলেছে যে ইউএস সরকার (ট্রাম্প প্রশাসন) গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সমর্থনকে ভুলভাবে ইহুদিবিদ্বেষ বা চরমপন্থার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলছে।

খালিলের আইনজীবী এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মধ্যে মৌখিক বিতর্ক শোনার পর, নিউ জার্সির জেলা জজ মাইকেল ফারবিয়ার্জ শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬:৩০টার দিকে লুইজিয়ানার একটি গ্রামীণ অভিবাসী কারাগার থেকে খলিলকে অবশেষে মুক্তির আদেশ দেন।