
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পুলিশি কাজে বাধা ও হাতকড়াসহ আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (২৫মে) সকালে কমলনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র শীল বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।
এর আগে, গভীর রাতে ও ভোরে অভিযান চালিয়ে চরকাদিরা এলাকা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মিলন (৪৮), শেম্ভু চন্দ্র দাস (৬৬) ও তার স্ত্রী ইরা দাস (৫০), শ্রী ত্রীকুট চন্দ্র দাস (৫২), আবদুর রহিম (২৭), সঞ্জীত চন্দ্র দাস (৪২), নুর আলম (৫৫) হেলাল উদ্দিন (৩২) ও মো. আব্বাছ উদ্দিন (৪০)। তারা সবাই উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা রাজুর অনুসারী বলে জানায় পুলিশ।
কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃতরা সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এরা সাধারণ মানুষকে ভূল বুঝিয়ে জড়ো করে আসামিকে গ্রেফতারে বাধা সৃষ্টি করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৪মে) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রামের তার নিজ বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার কয়েক শতাধিক অনুসারী নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে রাজুকে পুলিশের হাত থেকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেন বিক্ষোভকারীরা।
খবর পেয়ে কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।