
ইউক্রেনের আয়নাঘরের রহস্য ফাঁস করলেন দেশটির পলাতক এক এমপি। গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ-এর হাতে অপহরণ ও নির্যাতনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন তিনি। কীভাবে দিনের পর দিন তার উপর নির্যাতন করা হয়েছিল। যেখানে অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নেই। পানি, আলো-বাতাসের কোন অস্তিত্ব নেই সেখানে। যা শুনলে যে কারোর রক্ত হিম হয়ে আসবে।
আর্টিওম দিমিত্রুক নামের এই এমপি দাবি করেছেন জেলেনস্কির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তাকে প্রত্যেকটা মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তবে তিনি একা নন আয়নাঘরে বন্দি হাজার হাজার বন্দি। যাদের গোপন বেসমেন্টে রাখা হয়। দিনের পর দিন ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয় তাদের উপর।
এই নিয়ে আর্টিওম দিমিত্রুক জানান, জেলেনস্কির বিরুদ্ধে কথা বলায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ)তাকে অপহরণ করে। তাকে খুন করার নির্দেশ দেন তারা। ২০২২ সালে কৃষ্ণ সাগরের বন্দর শহর ওডেসায় একটি ঘটনার সময় এসবিইউ এজেন্টরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। তার কোন দোষ ছিল না। তাকে গোপন বেসমেন্টে রাখা হয়। সেখানে তাকে মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়। অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়। শেষ পর্যন্ত জ্ঞান হারান তিনি।এমনকী তার নাকও ফাটিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার নখও উপড়ে দেয়া হয়েছিল।
দিমিত্রুক আরও জানায়, ২০১৯ সালে জেলেনস্কির সার্ভেন্ট অফ দ্য পিপল পার্টির অংশ হিসেবে সংসদে নির্বাচিত হন। দুই বছর পর তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়। এরপর দল থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং এরপরেও তিনি একজন স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন চালিয়ে যান। যা পছন্দ হয় নি জেলেনস্কির। এরপর তার বিরুদ্ধে হত্যা ও চুরির মামলা আনা হয়। এরপর তাকে বন্দি করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথায় বন্দুক দেখিয়ে তার কাছ থেকে ক্যামেরার সামনে প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয়, তাকে একটাই শর্তে মুক্তির কথা বলা হয় যদি তিনি জেলেনস্কি সরকারের সমালোচনা বন্ধ করেন তবেই তকে মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু তিনি রাজি হন নি।