শেখ হাসিনা ও নওফেলসহ মোট ৩৪ জনের নাম রয়েছে এ মামলার আসামির তালিকায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে গুলিতে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহত কলেজ ছাত্র তানভির ছিদ্দিকীর চাচা মোহাম্মদ পারভেজ শনিবার ভোর রাতে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে ওসি জাহেদুল কবির জানান।
শেখ হাসিনা ও নওফেলসহ মোট ৩৪ জনের নাম রয়েছে এ মামলার আসামির তালিকায়। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় যাদের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চকবাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিও আছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের আশেকান আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী তানভির ছিদ্দিকী গত ১৮ অগাস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শাট-ডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের সামনে রাস্তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের ‘নির্দেশে ও হুকুমে’ মামলায় উল্লেখ করা আসামিসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থানে ইট-পাথর নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। তাতে তানভীর গুলিবিদ্ধ হয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ওইদিন একইস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ আরও দুইজন নিহত হন।
প্রবল গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সপ্তম মামলা এটি।
এর আগে গত চার দিনে ঢাকায় তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়, যার মধ্যে চারটি হত্যা মামলা, অন্যটি দায়ের হয়েছে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে।
এর বাইরে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষক সেলিম হোসেনের নিহতের ঘটনায় শুক্রবার হত্যা মামলা করা হয়েছে সদর থানায়।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।