কোটে তুলে নিয়ে দুই নারীকে যুবদল নেতার দলবদ্ধ ধর্ষণ, অতপরঃ………..

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একটি স’মিলে দুই নারীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় ভিডিও ধারণ করে রাখে ধর্ষকরা। পরে এ নিয়ে মুখ খুললে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সেবাখোলায় একটি স’মিলে এ ঘটনা ঘটে। রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী দুই নারী নাঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দুই নারী কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ এলাকায় থাকেন। দুজনই খুব দরিদ্র পরিবারের।

অভিযুক্তরা হলেন-বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে মো. মহসিন। সে স্থানীয়ভাবে যুবদল কর্মী হিসাবে পরিচিত। অন্যজন স’মিলের মালিক খোকন মিয়া। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগী দুই নারী একই রকম তথ্য দিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কৌশলে আমাদের রাস্তা থেকে তুলে স’মিলের একটি কক্ষে নিয়ে যায় তারা। সেখানে আমাদের জিম্মি করে মহসিন ও খোকনসহ ১০-১২ জন ধর্ষণ করে। আমরা বাকিদের দেখলে চিনতে পারব। তারা আরও বলেন, ধর্ষণের সময় তারা আমাদের মারধর করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এ সময় চিৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমাদের আটকে রেখে নির্যাতন করে তারা। ভিডিও ধারণ করে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে তাদের হাতে পায়ে ধরে সেখান থেকে ছাড়া পেয়েছি।

এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত স’মিলের মালিক খোকন মিয়া বলেন, জোরপূর্বক আমার স’মিলে দুই মেয়ে নিয়ে ঢোকে মহসিন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ১০-১২ জন ছিল। আমি কিছু করিনি, তারাই সব করেছে।

মহসিনের বাবা রঞ্জু মিয়া বলেন, আমার ছেলের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। ষড়যন্ত্র করে একটি চক্র তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত নই। এ ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমরা পুলিশকে অনুরোধ করব। কেউ অপকর্ম করলে আমরা তার দায়ভার নেব না।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, দুই নারী থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। তাদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ওসিকে বলা হয়েছে।