ইনফিনিক্স মোবাইল বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে যুবক হাসপাতালে ভর্তি

আধুনিক বিশ্ব বাস্তবতায় মোবাইল ছাড়া যেন সবকিছুই অচল। বর্তমানে সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্ত কল্পনাও করা যায় না। ঘর থেকে বাহির, দেশ থেকে দেশান্তর কিংবা অফিস আদালত সবজায়গাতেই ব্যবহার বাড়ছে মোবাইল ফোনের।

মোবাইল যেমন স্বস্তির কারণ আবার কখনো বিপদের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। প্রায়ই মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের খবর শোনা যায়। পকেটে কিংবা ব্যাগে থাকা অবস্থায় যেমন বিস্ফোরণ হয়েছে, তেমনই ঘরে থেকেও হয়েছে। আচমকা দাউদাউ করে জ্বলে উঠছে সাধের ফোনটি। বাংলাদেশে মোবাইল বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও শোনা গেছে।

এবার তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভোলায়। ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের একটি স্মার্টফোন বিস্ফোরণ হয়ে এক যুবক আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওই যুবকের নাম তানভীর হোসেন।

জানা গেছে, গত রোববার (১২ জানুয়ারি) প্রাইভেট পড়ে বাইকে বাসায় ফেরার পথে প্যান্টের পকেটে থাকা Infinix Hot 50 Pro Plus মোবাইলটি বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে যুবকের শরীরে আগুন ধরে যায়।

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চরফ্যাশনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন ওই যুবক।

এ ঘটনায় আহত তানভীরের বড় ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ বিডি২৪লাইভকে বলেন, পকেটে থাকা মোবাইল বিস্ফোরণ হয়ে আজকে আমার ভাই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। তার পায়ের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। এটা কি স্মার্টফোন নাকি টাইম বোমা? আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

তানভীরের বন্ধু তারেক বলেন, মোবাইল বিস্ফোরণের ঘটনা আগে বাহিরের দেশে শোনা যেত। এখন আমাদের দেশেই ঘটলো। এখন তো মোবাইল পকেটে রাখতেও ভয় লাগছে। একটা অজানা আতঙ্ক ঘিরে রাখছে।

টেক বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক আহসানুল করীম বলেন, কিছু স্মার্টফোন এখন টাইমবোমে পরিণত হয়েছে। মোবাইলগুলো কিছুক্ষণ ব্যবহার করলে গরম হয়ে উঠছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাটারি গরম হয়ে বিস্ফোরিত হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই মোবাইল বিস্ফোরণ হয়ে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। কোম্পানিগুলো কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না।

ইনফিনিক্স মোবাইল বিস্ফোরণের বিষয়ে কোম্পানিটির সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. ইফতেখার উদ্দিন সানির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মোবাইল বিস্ফোরণের ঘটনাটি আপনার মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। কেনো এমনটা হলো, সেটা আমি খোঁজ নিয়ে জানাতে পারব।