সহ-সমন্বয়ক খালেদকে ‌‌‘গুমের’ যে বর্ণনা পাওয়া গেল

চার দিন ধরে নিখোঁজ হওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ হাসানের সন্ধান মিলেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে প্রবেশ করেন। পরে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে তার কক্ষে নিয়ে যান।

এদিকে তাকে গুম করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে তিনি একটি গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানান।

আব্দুল কাদের বলেছেন, তিনি (খালেদ হাসান) ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। আমি তার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে চাইলে সে আমাকে তার গুম হওয়ার ঘটনা জানায়।

তিনি আরও জানান, খালেদের ভাষ্যমতে- শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে টিএসসি থেকে রিক্সায় করে দোয়েল চত্বরের দিকে যাবার সময় রিক্সাতেই অজ্ঞাত কারণে সে জ্ঞান হারায়। পরবর্তীতে সে যখন জ্ঞান ফিরে পায় সে নিজেকে সুনামগঞ্জের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে মাইক্রোবাসে দেখতে পায়। এসময় তারসাথে আরও ২-৩ জন ছিল। পরবর্তীতে সে আবারও জ্ঞান হারায়।

দ্বিতীয়বার যখন খালেদ জ্ঞান ফিরে পায় তখন সে নিজেকে পঞ্চগড়ের কোনও একটা জায়গায় দেখতে পায়। তখনও মাইক্রোবাস চলমান ছিল। তৃতীয়বার আজকে (মঙ্গলবার) যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে, তখন সে নিজেকে বরিশালের এক রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে কেউ একজন গাড়িতে তুলে দিলে সে ঢাকা পৌঁছে হলে ফিরে আসে।

তিনি বলেন, খালেদের মানসিক অবস্থা ভালো না। কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে এসেছি।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ বলেন, আমি খালেদের সঙ্গে কথা বলেছি। সে কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু ভয়ে বলতে পারছে না। তাকে খুব দুর্বল দেখাচ্ছে। পরে আমি ডাক্তার নিয়ে আসলে তার ব্লাড প্রেশার বেড়েছে বলে ডাক্তার জানায়।

তিনি আরও বলেন, এখন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সুস্থ হলে সে সবাইকে ঘটনার বিস্তারিত বলতে পারবে।