ময়মনসিংহের ভালুকায় নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগমকে কুপিয়ে হত্যার পর গলায় ওড়না পিছিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্বামী কামরুল ইসলাম।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৯ নবেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও কামারিয়া গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত রত্না বেগম (৩০) উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে এবং কামরুল ইসলাম (৩৫) একই উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের বর্তা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বাচ্চা প্রসবের সম্ভব তারিখ নির্ধারিত ছিল।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, দ্বিতীয় বাচ্চা প্রসবের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্নাকে নিয়ে স্বামী কামরুল ইসলাম নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার দুপুরে শ্বশুর বাড়ি পালগাঁও আসে। রাতের খাবার শেষে তাদের প্রথম সন্তানকে তার নানাীর সাথে রেখে স্বামী-স্ত্রী পাশের অন্য একটি ঘরে ঘুমাতে যায়। রাত দশটার দিকে ছেলে কান্নাকাটি শুরু করলে নানী মনোয়ারা বেগম ওই ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করলে দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের মেঝেতে রত্নার রক্তাক্ত মরদেহের পাশে কামরুলের মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সামছুল হুদা খান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।