পদত্যাগ করলেন BCB এর সভাপতি পাপন

গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রতিটা সেক্টরে বইছে পরিবর্তনের ঝিরি বাতাস। বছরের পর বছর স্বেচ্ছ্বাচারিতার মধ্য দিয়ে চলা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি) পরিবর্তনটা ছিল অবিশ্যম্ভাবী। তারই ধারাবাহীকতায় বোর্ডের পর্ষদে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। সরে যাচ্ছেন বর্তমান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

নাজমুল হাসানসহ বোর্ডের অনেক পরিচালকই এখন লাপাত্তা। যে ৭-৮জন আছেন তারা পার করছেন ব্যস্ত সময়। ব্যস্ততা পরিবর্তনের পথ আবিষ্কার নিয়েই। বৃহস্পতিবারও তারা আলোচনায় বসেন বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের করণীয় ঠিক করতে। সেখানেই একজন পরিচালক নাজমুলের সরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান।

সেই পরিচালক দাবি করেছেন, পদত্যাগে রাজি হয়েছেন নাজমুল। কেবল সভাপতিই নন, সঙ্গে পরিবর্তন হতে যাচ্ছে পুরো পরিচালনা পর্ষদেই। বর্তমান বোর্ডের একজন পরিচালক হয়তো থাকতে পারেন নতুন পরিচালনা পর্ষদে। কিংবা সর্বোচ্চ দুইজন।

অবশ্য চাইলেই বোর্ড ভেঙে দেওয়া বা নতুন সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়। সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে। আইসিসির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, কোনো বোর্ডে পরিবর্তন আনতে হবে সেই বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী।

কয়েক কয়েক দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, বিসিবি সভাপতি হতে পারেন সৈয়দ আশরাফুল হক। বিসিবির এই সাবেক সাধারণ সম্পাদকের এবার সভাপতির দায়িত্বে আসার সম্ভাবনা কিছুটা আছে বটে। তবে বড় একটি চমক এখানে দেখা যেতেও পারে। সাবেক এক অধিনায়ক, যিনি একসময় প্রধান নির্বাচকও ছিলেন, তাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে প্রবল।

২০১২ সালে সরকারের মনোনয়নে প্রথমবার বিসিবি সভাপতি হন নাজমুল হাসান। পরের বছর নির্বাচনে জিতে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন তিনিই। যদিও তিনি নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। পরের দুটি নির্বাচনেও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে সভাপতি হন। সদ্য দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল গত ১২ বছরে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের একচ্ছত্র ‘সম্রাট।’