প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে লোডশেডিং। এই গরমে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের যাওয়া-আসার কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।
বিদ্যুত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উৎপাদন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ভারতের সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে ভেড়ামারা দিয়ে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার কথা থাকলেও মিলছে ৮৮০ মেগাওয়াট। অপরদিকে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও ৪০০ মেগাওয়াট কম আসছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিটের মধ্যে সচল থাকা তৃতীয় ইউনিটে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আগে থেকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ ছিল।
এছাড়া গ্যাস সংকট ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিতরণ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎও মিলছে না। এসব কারণে সারাদেশে লোডশেডিং বেড়েছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার চেষ্টা করছে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে। এ জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জ্বালানি, কয়লা আমদানি করা হচ্ছে।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়াতে না পারলেও যেন না কমে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। শুধু বিদ্যুৎ নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলেও যেন না বাড়ে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।