নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. একরামের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রীর ৬০০ প্যাকেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় বিএনপি নেতা একরামের অনুসারীরা এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও আরেকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে অভিযুক্ত এ বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেনাবাহিনী ও কবিরহাট থানার একদল পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া ত্রাণগুলো উদ্ধার করে। এর আগে, একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের দই বাড়ির জাহের হোসেনের ছেলে মো. সৌরভ (১৮)
হামলার শিকার শিক্ষার্থী তাসরিফউর রহমান ওরফে নিহাদ অভিযাগ করে বলেন, উপজেলার কালামুন্সি বাজার এলাকার ছাত্ররা নিজেদের এলাকার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে বিতরণের জন্য ঢাকা থেকে ৬০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেটগুলো কালামুন্সি বাজারে আসে। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একরাম নানা অজুহাতে ছাত্রদের ত্রাণগুলো ছিনিয়ে নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রাখেন। তখন একরাম অনুসারী ছাত্রদল নেতা সোহেলের নেতৃত্বে সৌরভ, রিফাত, নুমান ও বাপ্পী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা মো. মাইন উদ্দিন আকাশ (১৬) নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে ও নিহাদ (১৬) নামে আরেক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে ছাত্ররা বিষয়টি পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে যায়। তারা ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে।
কবিরহাট থানার ওসি মো. হুমায়ন কবির বলেন, খবর পেয়ে ছাত্রদের ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়। ছাত্ররা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, বিএনপির নেতারা অভিযুক্ত বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও জানিয়েছেন।