টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা পড়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
বুধবার দুদক চেয়ারম্যান বরাবর মামলার আবেদন দায়ের করেন ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী। অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান ও মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি আবেদনটি করেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘সাবেক সংসদ সদস্য দুর্নীতিবাজ সাকিব আল হাসান এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অপরাধ লব্ধ আয় এবং এর স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর মাধ্যমে মানিলন্ডারিং অপরাধ করাসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।’
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজি ও অর্থ আত্মসাতের মতো ঘটনার সঙ্গে সাকিবের নাম জড়িত। জুয়া প্রতিষ্ঠান ও স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, ক্রিকেটে দুর্নীতি ও নির্বাচনী হলফনামায় ব্যবসা, সম্পদের তথ্য ও আয়ের উৎস গোপনসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আসা এসকল খবরের প্রেক্ষিতে অভিযোগের তদন্তের অনুরোধ আবেদনে জানানো হয়।
সাকিব এশিয়া ইন্সুরেন্স লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ও বিডিকম অনলাইন লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার কারসাজির সঙ্গেও জড়িত । এসব বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের মাধ্যমে প্রায় ১০৪ কোটি টাকা পুঁজি বাজার থেকে ‘সিরিয়াল ট্রেডিংয়ের’ মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন, যা সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ধারা ১৩ এবং ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন।