বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রধান জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল জানান, স্যানিটাইজার তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে স্যানিটাইজার প্রস্তুত করার পর পরীক্ষামূলকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলজাতও করা হয়। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খুব শীগ্রই কিছুদিনের মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতলজাত করা হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আশেপাশের সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করা আমাদের দায়িত্বের একটি অংশ। আমরা আপাতত স্বল্প পরিসরে এটা করেছি। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় যেহেতু শিক্ষার্থীরা নেই তাই আপাতত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আশেপাশের সাধারণ মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে এই স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে।
এছাড়া ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের CSE বিভাগের শিক্ষার্থীরাও ১৩৭ (প্রতিটি ১০০মি.লি.) বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে। যা খুব শীগ্রই সমাজের অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। আমরা এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সর্বাত্মক সহায়তা করতে সর্বদা প্রস্তুত। আশা করছি ধীরে ধীরে এর উৎপাদন এবং ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করা হবে। এজন্য প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া এ উদ্যোগ সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।