উনিশ শত বায়ান্ন থেকে দুই হাজার একুশ
গড়িয়েছে আজ এক দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমা,
এখনো আমি কতিপয় কারণে অকারণে নাখোশ
যখনই দেখি আমার বাংলা ভাষার ব্যঙ্গ নিরুপমা
রাত পোহালেই আরাধ্য একুশের প্রথম প্রহর
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্মরণীয় এ দিন,
একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত হবে গ্রাম নগর শহর
যেখানে বাজে একুশে শহীদের আত্মত্যাগের বীণ
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে হবে পালন
আমাদের গর্ব ও অহংকারের স্মৃতিময় এক ক্ষণ,
বাঙালী জাতি সত্ত্বায় যে বাংলা ভাষার যে লালন
করে চলেছি আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে কজন
বিউগলের করুণ সুর ভেসে ওঠবে শহীদ মিনার
তোপধবণি ওঠবে বেজে শহীদদের দেখাতে সন্মান
ফুলে ফুলে ওঠবে ভরে শহীদ বেদির পূর্ণ কিনার
সর্বস্তরে বাংলার প্রচলনেই রাখবো সন্মান অম্লান
অফিস আদালতে থাকবে পতাকা অর্থনমিত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও একই ধারা থাকবে যে বহমান,
প্রজন্মে থেকে প্রজন্মে একুশ থাকবে চির সমুন্নত
যেখানে যেথায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা সদা চলমান
মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য ত্যাগের নমুনা নাই
বাঙালীরা রেখেছে কেবল এমন ত্যাগেরই প্রমাণ,
মিষ্টি মধুর এ ভাষাতে যেমন আ৷ত্ম পরিত্প্তি পাই
বিশ্ব ভুবনে বিদেশী ভাষাতে নাইকো এমন প্রমাণ
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলায় আমার বাস
বাংলা মায়ের বাংলা ভাষায় জুড়াই আমার প্রাণ,
ঐতিহ্যের ভাষা বাংলায় চলে আমার প্রাণের শ্বাস
চিরউন্নত বাংলায় আমরা রাখব শুদ্ধ চর্চার মান
দেশ বিদেশে বাংলাকে নিয়ে হচ্ছে গবেষণা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হচ্ছে যেথা বাংলায় নতুন বিভাগ
ইউনেস্কো আবার দিচ্ছে কত নানা দিক নির্দেশনা
আগামী প্রজন্ম গর্বিত হবে দেখে এইসব হিসাব।
অনেক ত্যাগের মহিমায় পাওয়া এই অধিকার
লালনে পালনে যত্নশীল হয়ে করব নিজেকে মহান
আমরা বড় ভাগ্যবান নিজেকে করেছি আবিষ্কার
মায়ের ভাষা বাংলাতে সাধিত করছি এই জাহান
একুশ আসবে একুশ যাবে থাকবে মহান স্মৃতি
শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলার আমরাই রূপকার
ভাষার জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছে যারা ইতি
তাদের কীর্তির মহিমায় আজি হয়েছি যে গল্পকার
Sharing is caring!