তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলীয় এক সাংসদের অশোভন উক্তির জের ধরে পার্লামেন্টে হাতাহাতিতে জড়িয়েছে সাংসদরা।
বিরোধী দলীয় এক আইনপ্রণেতা বক্তৃতায় এরদোগান সিরিয়ায় নিহত তুর্কিশ সেনাদের প্রতি অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ করেন এবং তাকে উদ্দেশ্য করে অশোভন উক্তি করেন। ওই সাংসদের উক্তির জেরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় কয়েক ডজন পার্লামেন্ট সদস্য ওই কলহে যোগ দেন। কেউ কেউ ডেস্কের ওপর উঠে বিরোধীপক্ষকে ঘুসি মারেন। কেউ মারামারি থামানোরও চেষ্টা করেন।
হৈচৈ ও উত্তেজনার একটি ভিডিওতে এসব দৃশ্য দেখা গেছে। মারামারির সময় কয়েকজন আইনপ্রণেতা মাটিতে পড়ে যান।
বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির আইনপ্রণেতা এনজিন ওজকোক বলেন, সংবাদ সম্মেলন ও টুইটারে সিরিয়ায় নিহত সেনাদের প্রতি অবমাননা করেছেন এরদোগান।
কাজেই প্রেসিডেন্টকে মর্যাদাহীন, জঘন্য, নীচ ও বিশ্বাসঘাতক বলে আখ্যায়িত করেন ওই এমপি।
এছাড়াও তিনি বলেন, তুর্কি পরিবারের সন্তানদের যখন যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে, তখন এরদোগানের নিজের সন্তানরা দীর্ঘমেয়াদী সামরিক সেবার বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।
এর আগে দলীয় লোকদের সামনে দেয়া ভাষণে এরদোগান বলেন, সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে তুর্কি সামরিক বাহিনীর লড়াই নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধী দল মর্যাদাহীন, নীচ ও বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিয়েছে।
তুর্কি পার্লামেন্টের স্পিকার বিবৃতিতে বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতাদের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডেন্টকে অপমান করায় একটি তদন্তও শুরু করেছেন কৌঁসুলিরা।
সিরীয় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ আস্তানায় অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৯ জন তুর্কি সেনা নিহত হয়েছেন। সেখানে রুশ-সমর্থিত সরকারি বাহিনী প্রায় দশ লাখ লোককে নিরাপত্তার খোঁজে তুরস্কের সীমান্তের দিকে ধাবিত হতে বাধ্য করেছে।